এম এম লিংকন: [২] এরমধ্যে ২৪ টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। ১৬ টিতে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন। এছাড়া সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হবে।  

[৩] প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে আরো শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার প্রত্যাশা করছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। তবে, প্রথম ধাপে ৩৬ শতাংশের চেয়ে এই ধাপে বেশি ভোট পড়বে কি না তা মন্তব্য করতে রাজি হন নি কমিশন। 

[৪]  ভোটাররা  কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে এসে পছন্দের প্রতিনিধিকে ভোট দিতে পারছে কি না সেদিকেই মূল নজর দিচ্ছে কমিশন। 

 [৫] বেশির ভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নেতারাই। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও তারপরও কিছুটা দ্বন্দ্ব সংঘাত ঘটেছে এই ধাপের নির্বাচনে। 

[৬] স্থানীয় প্রতিনিধিদের বরাতে জানা যায়, বিএনপি  দলীয়ভাবে বর্জন করলেও দ্বিতীয় ধাপেও বিএনপির বর্তমান ও সাবেক নেতাদের মধ্যে অন্তত ৬৬ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। 

[৬.১] এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আছেন ২৯ জন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন ২০ জন এবং আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১৭ জন।

[৭] এই ধাপের ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আগের চেয়ে বেশিসংখ্যক অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আনসারের প্রায় তিন লাখ সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।

[৮] স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী ১৬টি উপজেলায় নির্দিষ্ট হারের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

[৯] এই ধাপে মোট ১ হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

[১০] এ সব উপজেলায় মোট কেন্দ্র ১৩ হাজার ১৬টি এবং ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ৫৮৯টি।  এতে মোট ভোটার ৩ কোটি ৫২ লাখ ৪ হাজার ৭৪৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫ হাজার ৪৬৪ জন এবং নারী ভোটার ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছে ২৩৭ জন। 

[১০] আবার এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৮ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, অর্থাৎ মোট ২২ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী